মোঃ ওমর ফারুকঃ পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে ঢাকার পার্শ্ববর্তী এলাকা শরিয়তপুর জেলার জাজিরা ও নড়িয়া থানার বেশ কয়েকটি গ্রাম ইতিমধ্যে তলিয়ে গিয়েছে। ফলে ফসলি জমি,রাস্তা-ঘাট,শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসহ মোট ৮টি প্রতিষ্ঠান।আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে একটি কালভার্ট ও ব্রিজ এবং শূন্য দশমিক ১৫০কি.মি. বাঁধ আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
দূর্গত এলাকার মামুষ নৌডাকাতের আতঙ্কে ভুগছেন।বসতবাড়ি ডুবে যাওয়ার ফলে পানিবন্দি মানুষগুলো অর্ধাহারে অনাহারে দিন যাপন করছেন।নলকূপ ডুবে যাওয়ায় বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে।এছাড়া ছড়িয়ে পড়ছে পানিবাহিত রোগ।খাদ্যের অভাবে গবাদিপশু বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন অনেকেই।
উত্তরাঞ্চলের পানি নেমে আসার ফলে দক্ষিণাঞ্চলে ক্রমাগত পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে সেই সাথে নদী ভাঙ্গন তীব্র আকার ধারণ করেছে।২০১৮ সালে পদ্মার তীব্র ভাঙ্গনের ফলে নড়িয়া থানার অসংখ্য গ্রাম নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গিয়েছে। এছাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কম্পলেক্স ও নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গিয়েছে।পরবর্তীতে বাঁধ নিমার্ণ কাজ ২০১৯সালে শুরু হলেও সমাপ্ত হবার পূর্বেই বন্যায় কবলিত হয়ে নতুন করে বিভিন্ন এলাকায় ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে।ফলশ্রুতিতে, বাঁধ নির্মাণ কাজ ব্যহত হচ্ছে এবং সাময়িকভাবে তা স্থগিত করা হয়েছে।
গত মঙ্গলবার রাত থেকে গতকাল পর্যন্ত শরিয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার নওপাড়া ইউনিয়নের মুন্সিকান্দি এলাকায় ১৫টি বাড়িঘর নদীতে বিলীন হয়েছে।আরও প্রায় ৩০টি বাড়িঘর ভাঙ্গনের মুখে।বন্যায় শরিয়তপুর এর ৩০হাজার ৩৭২জন আংশিক বা পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের শনিবারে দেয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী ৪৮ ঘন্টায় পদ্মা নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে।ফলে শরিয়তপুরের বন্যা পরিস্থিতির সামান্য অবনতি হতে পারে।
এছাড়া যানবাহন চলাচল ও বন্ধ রয়েছে।ফলে কাঁঠালবাড়িঘাটে অসংখ্য যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে।শরিয়তপুর এর পূর্বে চাঁদপুর জেলা।জোয়ারের পানিতে মেঘনা নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে ১কিলোমিটার এলাকা জুড়ে প্লাবিত হয়েছে।ফলে ঘাটে নদী পারাপারের জন্য অসংখ্য যানবাহন অপেক্ষারত।
আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নেয়ার ফলে নানা রোগ বালাই এ আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা তো আছেই।কিন্তু এই করোনাকালীন সময়ে এখন আরও খারাপ অবস্থার আশংকা করা হচ্ছে।নিরাপদ দূরত্ব নিশ্চিত করা কঠিন থেকে কঠিনতর হয়ে উঠেছে।দেখা দিয়েছে খাদ্য,চিকিৎসা ও স্যানিটাইজেশনের তীব্র সংকট।
সরকার পক্ষ থেকে এখনো কোনো ত্রাণ এসে পৌছায়নী পানিবন্দি মানুষের কাছে।তবে ২৩টি জেলায় প্রসাশনের নিকট চিঠি পাঠানো হয়েছে দুস্থ মানুষের তালিকা করে তাদেরকে সহায়তা করার জন্য।নগদ অর্থ ও খাদ্য ও শুকনা খাবার বরাদ্ধ করা হয়েছে।